“অপারেশন মিডনাইট হ্যামার”—যুক্তরাষ্ট্রের অভূতপূর্ব সামরিক সাফল্য

এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও নৌবাহিনী একযোগে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা চালায়।

প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ব্রিফিংয়ে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করতে আমরা একটি অত্যন্ত নিখুঁত ও গোপন অভিযান চালিয়েছি। আমাদের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে, কিন্তু ইরানি সেনা বা সাধারণ নাগরিকদের ওপর কোনোরকম ক্ষতি হয়নি।”

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন উল্লেখ করেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম দূরপাল্লার ও নিখুঁত সামরিক অভিযান। আমাদের সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে এবং অপারেশনটি সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মধ্যে পরিচালিত হয়েছে।”

অপারেশনে সাতটি B-2 স্টিলথ বোম্বার যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে উড্ডয়ন করে ইরানে প্রবেশ করে এবং ফোর্ডো ও নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনায় ভারী বাংকার-বাস্টার বোমা ফেলে। একইসাথে, মার্কিন সাবমেরিন থেকে ইসফাহানে একাধিক টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। পুরো অপারেশনটি মাত্র কয়েক মিনিটে সম্পন্ন হয়।

ইরান অভিযানের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে তেল আবিব ও হাইফায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির রাজনৈতিক মহলে এই অভিযান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে—কেউ কেউ অভিযানের সাফল্যে খুশি, আবার কেউ কেউ সামরিক পদক্ষেপের সমালোচনাও করেছেন।