ট্রাম্পের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ

তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান) সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলাকে তিনি “অসাধারণ সামরিক সাফল্য” বলে আখ্যা দেন এবং ইরানকে সতর্ক করেন, তারা যদি শান্তি না করে তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান। আমাদের সব বিমান নিরাপদে ইরানের আকাশসীমা ছেড়েছে। ফোর্ডো স্থাপনায় সম্পূর্ণ বোমার পে-লোড ফেলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন “আজকের অভিযান ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরান এখন যুদ্ধ বন্ধ না করলে তাদের জন্য আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। মনে রাখুন, এখনও অনেক লক্ষ্য বাকি আছে।” “এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস-সমর্থক রাষ্ট্রের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা।” “৪০ বছর ধরে ইরান ‘আমেরিকার মৃত্যু’ ও ‘ইসরায়েলের মৃত্যু’ বলে আসছে। তারা আমাদের সেনাদের হত্যা করেছে, বহু মানুষকে পঙ্গু করেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আর চলতে দেওয়া যাবে না।”

ট্রাম্পের ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক অভিযানের সফলতা তুলে ধরেন, ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এবং বলেন, “এখন শান্তির সময়, না হলে ইরানের জন্য আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।” তিনি মার্কিন ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান এবং জানান, ভবিষ্যতে আরও হামলার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে আপাতত শান্তি চান।