শেষ দিনে জয় নয়, ড্র-ই বেছে নিল বাংলাদেশ

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ ১:৪৯ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গলের ঐতিহাসিক টেস্টে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ড্র নিয়ে।
যেখানে চতুর্থ দিন শেষে জয় আশা করলেও, পঞ্চম দিনের ব্যাটিং নীতি সে প্রত্যাশায় জল ঢেলে দেয়। ব্যাট হাতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের জুটি দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান যোগ করলেও ব্যাটিংয়ের ধীরগতির কারণে প্রশ্নের মুখে পড়ে বাংলাদেশ দলের মানসিকতা—তারা আদৌ জয়ের কথা ভেবেছিল কি না!
শেষ দিনে ২৯৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলেও, ইনিংস ঘোষণার সময় উইকেটে থাকা শান্ত ও দল এমনভাবে ব্যাট করছিল যেন ড্র-ই চূড়ান্ত লক্ষ্য। শান্ত যেখানে সেঞ্চুরির আগে ৩৬ বল খেলে একটি বাউন্ডারিও মারেননি, সেঞ্চুরির পর তিন ছক্কা হাঁকিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রান বাড়ান। এমন ব্যাটিং আরও আগে করলে হয়তো ফল অন্যরকমও হতে পারত। মুশফিকের ইনিংসটিও ছিল বড্ড রক্ষণাত্মক ১০২ বলে ৪৯ রান, মাত্র ৪টি চার!
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। নাজমুল হোসেন ছিলেন ১২৫ রানে অপরাজিত। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরির বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন, যা টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে মাত্র ১৬ জনের আছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সাফল্য দলীয় জয়ে রূপ নেয়নি।
বৃষ্টির কারণে শেষ দিনে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এরপর খেলা শুরু হলে ঘোষণা আসে, আলোর অবস্থা অনুকূলে থাকলে ৩৭ ওভার খেলা সম্ভব হবে। তবে শ্রীলঙ্কা ৩২ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুললে দুই অধিনায়কের সম্মতিতে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার, ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
বৃষ্টির পরপরই লিটন দাস (১১) ও জাকের আলী (০) দ্রুত ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। যদিও শান্ত তখনো এক প্রান্তে দৃঢ় ছিলেন। কিন্তু তাদের ব্যাটিংয়ে যে জয়ের তাড়না ছিল না, তা দিন শেষে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
দিনের শুরুতে মুশফিক ও শান্ত কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। উইকেটের আচরণ তুলনামূলক সহজ থাকলেও ইনিংস ঘোষণায় দেরি করে দলটি সম্ভাব্য একটি জয়ের সম্ভাবনা হারায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হলেও, দর্শকদের মনে একটাই প্রশ্ন—জয়ের সেই সাহসী প্রচেষ্টা কোথায় হারিয়ে গেল?
১১৬ বার পড়া হয়েছে