সর্বশেষ

শিক্ষা

দাবি মানা না হলে রোববার ‘ঢাকা ব্লকেড’: শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ ১২:২১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকা।

শনিবার সকাল থেকে ভাটারা নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—দাবি মানা না হলে আগামীকাল রোববার (২২ জুন) ‘ঢাকা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সকালে সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় দুপুর আড়াইটায়ও শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করছিলেন। এতে কুড়িল থেকে বাড্ডা ও গুলশান অভিমুখী প্রধান সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আন্দোলনে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ নামের একটি শিক্ষার্থী সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা জানান, দাবি আদায়ে আজকের দিনই চূড়ান্ত সময়সীমা। দাবি মানা না হলে আগামীকাল সারাদেশজুড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

এদিকে, সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ অভিযান চালায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের অ্যাকশনে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধাওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হলেও পরে তারা পুনরায় সড়কে অবস্থান নেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি:
১. আন্দোলনে জড়িতদের অবৈধ ও অন্যায় বহিষ্কার প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
২. বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
৩. ইউআইইউ-তে চলমান অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সংস্কার কার্যকর করা।
৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন।
৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫% কর প্রত্যাহার।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধানসহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। ইউজিসিতে একাধিকবার স্মারকলিপি দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউর উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা বর্জন করে সরাসরি ক্লাস এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন