সাতক্ষীরায় স.ম. আলাউদ্দীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার খ্যাতিমান সাংবাদিক, দৈনিক পত্রদূতের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম. আলাউদ্দীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ স.ম. আলাউদ্দীনসহ দেশ-বিদেশে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি ও বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বাসস এবং বাংলাভিশনের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন জেলার বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, চ্যানেল আই-এর আবুল কালাম আজাদ, জনতার কালিদাস রায়, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, গণফোরাম নেতা আলী নূর খান বাবুল, খবর সংযোগের শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, কাফেলার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, ৭১ টিভির বরুণ ব্যানার্জি, পত্রদূতের এসএম শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক ডা. মহিদার রহমান, ডিবিসির এম. বেলাল হুসাইন, আব্দুস সামাদ, আব্দুল মোমিন, জিএম আমিনুল হক ও হাবিবুল হাসানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, স.ম. আলাউদ্দীন ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রথম সাংবাদিক, যিনি হত্যার শিকার হন। ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন সাতক্ষীরার কুচক্রীমহল তাঁকে নিজ পত্রিকা অফিসে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর পরিবার এখনও বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আলাউদ্দীনের হত্যাকাণ্ডের পর সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবল, হুমায়ুন কবির বালু, মানিক সাহা, চঞ্চল সিংহসহ অনেক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো সঠিক বিচার হয়নি। তাঁরা সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার এবং হয়রানি ও গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান।
আলোচনায় শহীদ স.ম. আলাউদ্দীনের বহুমুখী অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি শুধু সাংবাদিকই নন, বরং ছিলেন একজন সফল উদ্যোক্তা ও সমাজসংস্কারক। ভোমরা স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন, কারিগরি শিক্ষার বিস্তারে স্কুল স্থাপন, এবং দৈনিক পত্রদূত প্রকাশনার মাধ্যমে সাতক্ষীরার মানুষের ভাষা তুলে ধরার কাজ তাঁর অন্যতম কীর্তি। বক্তারা বলেন, তাঁর আদর্শ, চিন্তা ও উন্নয়ন-দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রাসঙ্গিক এবং আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, জন্মভূমির শহিদুল ইসলাম, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, সাংবাদিক তৌফিকুজ্জামান লিটু, আব্দুস সালাম পান্না, ইদ্রিস আলী, আব্দুর রহমান, সেলিম হোসেন, হাসান গফুর, জাকির হোসেন, মাসুদ হাসান মনি, মেহেদী হাসান শিমুল, সাকিব হোসেন, হাশেম আলী প্রমুখ।
১২১ বার পড়া হয়েছে