সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইরানের মজুদে ‘ডুমসডে’ ক্ষেপণাস্ত্র, এখনও ব্যবহার করা হয়নি

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনা এবার গড়াল নবম দিনে। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার আভাস শুরুতে থাকলেও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভিন্ন।

বরং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঘোষণা করেছেন, "যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে" আর এ ঘোষণার পর থেকেই নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে সংঘাত।

খামেনির এই হুঁশিয়ারির পর ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে পাল্টা হামলা জোরদার করে। জেরুজালেম, তেল আবিবসহ একাধিক স্থানে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে জনজীবন। ইসরায়েলের কেন্দ্র ও উত্তরাঞ্চলে জারি করা হয় বিমান হামলা সতর্কতা।

এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা পিছু হটবে না এবং তাদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ইরান জানিয়েছে, তাদের হাতে রয়েছে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র, যেগুলো এখনো ব্যবহৃত হয়নি।

ইরানের সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে উচ্চগতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই দ্রুত ছুটে আসে যে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অস্ত্র বিশ্বের হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দেশের কাছেই রয়েছে।

দিন ও রাত উভয় সময়েই ইরান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে ইসরায়েলের পক্ষে সুনির্দিষ্ট সময় ধরে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দ্য নিউ আরব জানিয়েছে, ইরান এখনো ব্যবহার করেনি তাদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘শহীদ হাজ কাশেম’, যার গতি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এটি কঠিন জ্বালানিচালিত (সলিড ফুয়েল) ক্ষেপণাস্ত্র, যার নামকরণ করা হয়েছে নিহত কুদস ফোর্স কমান্ডার কাশেম সোলাইমানির নামে।

সবচেয়ে আলোচিত অস্ত্রের নাম ‘খোররামশাহ’, যাকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে ‘ডুমসডে ক্ষেপণাস্ত্র’। এটি ইরানের অন্যতম শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইল, যার ওয়ারহেড বহনের ক্ষমতা প্রায় ১,৮০০ কেজি। ঘনবসতিপূর্ণ কোনো এলাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একাধিক ভবনের ব্লক।

শুধু খোররামশাহ বা হাজ কাশেম নয়, ইরানের হাতে এখনো রয়েছে কাদর, এমাদসহ হাজার হাজার মধ্য ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা এসব শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এখনো ব্যবহার না করা হলেও তা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে মুহূর্তে আমূল বদলে দিতে পারে।

পশ্চিম এশিয়ায় ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে সংঘাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ কতটা দীর্ঘ ও বিস্তৃত হবে তা নির্ভর করছে পরবর্তী কৌশলগত সিদ্ধান্তগুলোর ওপর। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন এক অজানা উৎকণ্ঠার দিকে তাকিয়ে।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন