ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে তীব্র বিতর্ক, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক চাপ

এই সভাটি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডাকা হয়েছিল। ইরানের অনুরোধে এই বৈঠক হয়েছে, এবং রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া এই অনুরোধকে সমর্থন জানিয়েছে।

সভায় ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইয়াভানি (Amir Saeid Iravani) ইরানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইরান নিরাপত্তা পরিষদে দাবি করেছে, ইসরায়েল তাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। ইরান পরিষদকে ইসরায়েলের হামলা নিন্দা করতে এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদে বলেছেন, ইসরায়েল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা দেখিয়েছে এবং জাতিসংঘ সনদের প্রতি কোনো সম্মান দেখায়নি। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তবুও সেগুলো হামলার লক্ষ্য হয়েছে।

ইসরায়েল তাদের বক্তব্যে বলেছে, ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে আসা “তাৎক্ষণিক ও অস্তিত্বগত হুমকি” প্রতিরোধে তারা শেষ উপায় হিসেবে হামলা চালিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য দেশ যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে এখনো কোনো বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। আলোচনা চলছে এবং অধিকাংশ সদস্য দেশ কূটনৈতিক সমাধান ও যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবস্থান চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত শান্তি ও সমাধান প্রত্যাশা করছে।