ইসরায়েলের ‘অপারেশন নার্নিয়া’: ইরানের শীর্ষ বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাদের একযোগে হত্যা

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫ ১:৪২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলের ‘অপারেশন নার্নিয়া’ অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের একটি ‘হিট লিস্ট’ প্রকাশ হয়েছে এবং অধিকাংশই নিহত হয়েছেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর বেশিরভাগ অংশই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে।
২০২৫ সালের জুন মাসে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ও ‘অপারেশন নার্নিয়া’ কোডনামে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায়। এই অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, যেমন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, এবং শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি নিহত হন বলে ইরান ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিকল্পনায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৯-১০ জন শীর্ষ বিজ্ঞানীকে একযোগে হত্যা করা হয়। এসব বিজ্ঞানীকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের নিজ বাড়িতে গোপন অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রের দাবি, এই বিজ্ঞানীরা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এবং তাদের মৃত্যু ইরানের পরমাণু শক্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা।
এছাড়া, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা ও পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষভাবে নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু ছিল। ইরান পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে।
তবে, কিছু সূত্রে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় ও সংখ্যা নিয়ে ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি, এবং কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে নিহতদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে, ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক একাধিক উৎসে ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে