ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যুদ্ধবিষয়ক ক্ষমতা বিপ্লবী গার্ডের হাতে হস্তান্তর করেছেন

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোয় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। এখন থেকে IRGC সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি ছাড়াই বড় ধরনের সামরিক সিদ্ধান্ত, এমনকি পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতে পারবে। ফলে, ইরান কার্যত সামরিক-ধর্মীয় শাসনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো সরাসরি এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলোতে খামেনির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এবং তার পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। একইসঙ্গে, ইসরায়েলি হামলার পরবর্তী পরিস্থিতিতে IRGC-এর শীর্ষ পর্যায়ে জরুরি বৈঠক এবং সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করার খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার ক্ষমতা শক্ত হাতে থাকবে এবং শাসনব্যবস্থায় কোনো শূন্যতা তৈরি হবে না। একইসঙ্গে, সংস্কারপন্থী বা পশ্চিম-সমর্থিত কোনো গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের সুযোগও কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।