ইরানের পাশে মুসলিম দেশগুলো: কূটনৈতিক সমর্থন ও সীমাবদ্ধতা

মিশরের নেতৃত্বে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে এই দেশগুলো যুদ্ধবিরতি, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।

যেসব মুসলিম দেশ যৌথ বিবৃতিতে অংশ নিয়েছে এবং তাদের ভূমিকা:
• মিশর: নেতৃত্ব দিয়েছে যৌথ বিবৃতির, ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান।
• সৌদি আরব: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উদ্বেগ, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে নৈতিক দায়িত্ব পালন।
• কাতার: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
• সংযুক্ত আরব আমিরাত: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, তবে ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
• ওমান: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আঞ্চলিক শান্তির পক্ষে অবস্থান।
• বাহরাইন: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
• জর্ডান: ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে, ইসরাইলের হামলা নিন্দা।
• তুরস্ক: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
• ইন্দোনেশিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সমর্থন।
• পাকিস্তান: ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ, কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে, সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়নি।
• ইরাক: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান।
• লিবিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, মুসলিম ঐক্যের প্রতি সমর্থন।
• মরিতানিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তির পক্ষে অবস্থান।
• চাদ: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আঞ্চলিক নিরাপত্তার উদ্বেগ।
• সোমালিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, মুসলিম ঐক্যের প্রতি সমর্থন।
• সুদান: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তির পক্ষে অবস্থান।
• আলজেরিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান।
• মালয়েশিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সমর্থন।
• টিউনিসিয়া: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, মুসলিম ঐক্যের প্রতি সমর্থন।
• মরক্কো: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, আঞ্চলিক শান্তির পক্ষে অবস্থান।
• কুয়েত: ইসরাইলের হামলার নিন্দা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।

(সব ২১টি দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ না পাওয়া গেলেও, উপরের তালিকায় মধ্যপাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান মুসলিম দেশগুলো এবং যৌথ বিবৃতিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে)।

এই দেশগুলো মূলত ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাধান ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কেউ কেউ ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে, তবে কোনো দেশই সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত হয়নি। জর্ডান ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।