চালের বাজারে ফের ঊর্ধ্বমুখী, স্বস্তি মিলছে মুরগি ও সবজিতে

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫ ৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঈদের ছুটির পর রাজধানীর বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। ইরি-বোরো মৌসুমে নতুন চাল বাজারে আসার পর কিছুটা কমলেও, সেই স্বস্তি ছিল সাময়িক।
এখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চালের (বিআর-২৮, পারিজা) দাম এখন মানভেদে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা কেজি, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালকল মালিকরা ঈদের পর বাজার চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাম বাড়িয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালের দাম এক সপ্তাহে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
রামপুরা বাজারের চাল বিক্রেতা জুবায়ের আলী বলেন, "ঈদের পর দোকান খোলার পর থেকেই চালের বস্তার দাম আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বাড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।"
তবে চালের বাজারে এমন ঊর্ধ্বগতির মাঝেও স্বস্তির খবর রয়েছে মুরগি, ডিম ও সবজির দামে। ঈদের পর রাজধানীর বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে, যার ফলে কিছুটা হলেও সাশ্রয়ী বাজারের অনুভব পাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে ঈদের আগে তা ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কমে এসেছে, এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, ঈদের পর ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস থাকায় মুরগি ও ডিমের চাহিদা কমেছে। পাশাপাশি বাজারে ক্রেতা উপস্থিতিও তুলনামূলক কম।
এছাড়া বিভিন্ন সবজির দামও তুলনামূলক কম। পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙেসহ বেশিরভাগ সবজি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। চলমান ভ্রাম্যমাণ দোকান ও ছোট বাজারগুলোতে কিছু কিছু সবজি আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
১০৮ বার পড়া হয়েছে