ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নতুন প্রযুক্তির ওয়ারহেড

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫ ৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
১৯ জুন, বৃহস্পতিবার ভোরে ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ইরানের অত্যাধুনিক 'খোররামশাহর-৪' (Khorramshahr-4) মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওফির কোহেন।
তিনি জানান, “এই হামলায় ব্যবহৃত ওয়ারহেডগুলো প্রচলিত বিস্ফোরকের চেয়ে ভিন্ন। এগুলো বাতাসে নির্দিষ্ট উচ্চতায় বিস্ফোরিত হয়ে বহু ক্ষুদ্র সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয় এবং বিস্তৃত এলাকায় আঘাত হানে।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রীয় ইসরায়েলে বিস্ফোরিত হয়ে ২০টিরও বেশি সাবমিউনিশন ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে পাঁচ মাইল এলাকাজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, 'খোররামশাহর-৪' ক্ষেপণাস্ত্রের এই ক্লাস্টার ওয়ারহেড ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, সাবমিউনিশনগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন এবং বিস্তৃত এলাকায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে সক্ষম।
তবে ইরান সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে 'খোররামশাহর-৪' ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি। IDF ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষ ও শার্পনেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও মনে করছেন, হামলায় 'খোররামশাহর-৪' ব্যবহারের সম্ভাবনা অত্যন্ত জোরালো।
উল্লেখ্য, 'খোররামশাহর-৪' ইরানের সর্বাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা একাধিক সাবমিউনিশন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম এবং এর ওয়ারহেডের ওজন ১,৫০০ থেকে ২,০০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
১২৫ বার পড়া হয়েছে