গ্যাস-সংকটে বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫ ১:৪৩ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় কক্সবাজারের মহেশখালী এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে গ্যাসবাহী জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
এতে করে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস-সংকট। ঘরোয়া ব্যবহার থেকে শুরু করে শিল্পখাত—সবখানেই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা।
জানা গেছে, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাসের চাপ অনেকটাই কমে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হতো, সেখানে বুধবার সন্ধ্যায় তা নেমে আসে মাত্র ১৯৫ মিলিয়ন ঘনফুটে। এতে নগরীর ১ হাজার ২০০ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও দেড় লাখ আবাসিক গ্রাহক গ্যাসের অভাবে বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া সংকট আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল পর্যন্তও কাটেনি। অনেক বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলেনি, রান্না বন্ধ ছিল। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে এলপিজি চুলার ওপর নির্ভর করেছেন বা খাবারের জন্য রেস্তোরাঁয় গেছেন।
নগরীর কাজির দেউড়ির ভিআইপি টাওয়ার এলাকার গৃহিণী ফরিদা ইয়াসমিন শিল্পী বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকে গ্যাস নেই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি আশপাশেও একই অবস্থা। পরে এলপিজি ব্যবহার করে রান্না করেছি। আজ বিকেল পর্যন্ত গ্যাস আসেনি।’
শুধু বাসাবাড়ি নয়, সংকটের প্রভাব পড়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতেও। গ্যাসের অভাবে শহরের বিভিন্ন পাম্পে দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ সারি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক (বিতরণ দক্ষিণ বিভাগ) মো. আজাদ রহমান বলেন, ‘মৌসুমি দুর্যোগের কারণে এলএনজি টার্মিনালে জাহাজ নোঙর করা যাচ্ছে না, ফলে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা আশা করছি, রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। তবে চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক গ্রাহক সাময়িক অসুবিধায় রয়েছেন।’
১৩১ বার পড়া হয়েছে