সর্বশেষ

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংকের ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন, ঢাকায় চলবে ৪শ' বৈদ্যুতিক বাস 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বায়ুর মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে দুইটি নতুন প্রকল্পের জন্য মোট ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন।

দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পগুলো দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৮২২ কোটি টাকার সমমান।

 বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


প্রথম প্রকল্পটি পেট্রোবাংলার ‘জ্বালানি খাত নিরাপত্তা উন্নয়ন’ যা ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পেয়েছে। এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে স্থায়িত্ব আনতে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন এলএনজি আমদানির জন্য ২.১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেসরকারি বিনিয়োগ আনা হবে। এতে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন কমানোর পাশাপাশি দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়বে।

অপরদিকে, ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ নামে দ্বিতীয় প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত হয়েছে ২৯০ মিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্প ঢাকার ভয়াবহ বায়ু দূষণ কমাতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার তুলনায় ঢাকায় পার্টিকুলেট ম্যাটারের মাত্রা প্রায় ১৮ গুণ বেশি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমানের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে এবং শিল্প ও যানবাহনের নির্গমন নিয়মিত তদারকির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি চালু করা হবে। এছাড়া, পুরোনো দূষণকারী ডিজেল বাসের পরিবর্তে ৪০০টি শূন্য-নির্গমন বৈদ্যুতিক বাস চালু করা হবে। এই বাসগুলো ‘প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একক অপারেটর’ মডেলের আওতায় পরিচালিত হবে এবং চার্জিং, পার্কিং ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট ডিপো নির্মাণ করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর (অন্তর্বর্তী) গেইল মার্টিন বলেন, “এই প্রকল্পগুলো জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানো এবং বায়ু দূষণ কমানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।”

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও টাস্ক টিম লিডার ওলাঙ্কা বিসিরিয়ু ইডেবিরি বলেন, “নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, যা শিল্প ও গার্হস্থ্য ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।”

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনা লুইসা গোমস লিমা জানান, “বায়ু দূষণ কমানো শুধু বাংলাদেশের নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এটি মোকাবিলা করতে হবে। এই প্রকল্প আঞ্চলিক সংলাপ এবং তথ্য আদান-প্রদানেও সহায়ক হবে।”

১১৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন