সর্বশেষ

জাতীয়

গুমের শিকার অনেককে জঙ্গি তকমা দিয়ে মামলা দেওয়া হতো: তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন, ২০২৫ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বিগত সরকারের সময় গুমের শিকার বহু মানুষকে জঙ্গি পরিচয়ে বিচারাধীন কিংবা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চার ধরনের পরিণতি লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ নিহত হয়েছেন, আবার অনেককে ‘জঙ্গি’ হিসেবে উপস্থাপন করে দেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত পাঠিয়ে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেফতার করানো হয়েছে। আর সৌভাগ্যবান অল্প কয়েকজনকে মামলা না দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল জানান, ৪ জুন গুম কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে ‘গুম’কে একটি পদ্ধতিগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে মোট ১৮৫০টি অভিযোগ বিশ্লেষণ করে ২৫৩ জন গুমভুক্ত ভুক্তভোগীর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যাদের বিষয়ে তিনটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে।

প্রথমত, নিখোঁজ হওয়ার সময় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি, মামলা অথবা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ সমসাময়িক প্রমাণ রয়েছে। বিচারপতি মইনুল বলেন, এই প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারার অন্যতম কারণ ছিল, সে সময়ে অনেক থানায় জিডি গ্রহণই করা হতো না।

দ্বিতীয়ত, গুম থেকে ফেরত আসার সময় এসব ব্যক্তিকে বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী বা ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ফলে, রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে যে তারা ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে রেখেছিল।

তৃতীয়ত, এরা জীবিত থেকে ফিরে আসায় নিজেরাই কমিশনের কাছে বর্ণনা দিতে সক্ষম হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, গোপন আটক কেন্দ্রে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন এবং সেখানে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতাও মিলেছে।

কমিটি আশা প্রকাশ করে, এসব তথ্যের ভিত্তিতে দায়ীদের শনাক্ত করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন