সর্বশেষ

সারাদেশ

টানা বৃষ্টিতে খুলনা মহানগরীর সড়কগুলো ডুবেছে পানিতে, দুর্ভোগে নগরবাসী

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রতিনিধি

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টানা বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর প্রায় সব সড়ক। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত বুধবার (১৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

এ সময় ৬৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খুলনা আবহাওয়া অফিস।

জলাবদ্ধতার কারণে অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারেননি। বন্ধ রয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। নগরীর টুটপাড়া, রয়েল মোড়, মিস্ত্রিপাড়া, খালিশপুর, নিউ মার্কেট, বাস্তুহারা, শান্তিধাম মোড়, দিলখোলা রোড, পূর্ব বানিয়া খামার, বসুপাড়া, ফুলবাড়িগেট, আলমনগর, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, করপাড়া, দৌলতপুর বীণাপাণি, কুয়েট রোড এবং রুপসা ব্রিজ রোডসহ বহু এলাকা হাঁটুপানিতে ডুবে গেছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা এলেই খুলনার চিত্র এমনই হয়। সিটি করপোরেশনের দুরদর্শিতার অভাব, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল ও বিল দখল এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি এর জন্য দায়ী।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগর এলাকায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে ১ হাজার ২১৫টি সড়ক ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৩টি খাল ও ৫৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ড্রেন নির্মাণে ৮২৩ কোটি টাকা ও রাস্তা মেরামতে ৬৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রায় সাত বছরে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান।

শান্তিধাম মোড়ের বাসিন্দা শুভ রায় বলেন, “রয়েল মোড় থেকে মির্জাপুর রোড পর্যন্ত এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। এখন সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। হাঁটুপানি তো হয়েছেই, সামনে কোমরপানি হলেও অবাক হব না। সিটি করপোরেশনের উচিত এসব প্রকল্প অন্য কোনো দক্ষ সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা।”

এদিকে, কেসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান জানান, “বৃষ্টির আগে গুরুত্বপূর্ণ ড্রেনগুলোতে জমে থাকা মাটি অপসারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ চলেছে। এছাড়া মতিয়াখালি ও ক্ষেত্রখালি খাল সংস্কারের কাজও চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “বড় বড় ড্রেনগুলোর নির্মাণকাজে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে পানি নামতে পারেনি। বাঁধ কেটে দেওয়ার পর পানি নামতে শুরু করেছে।”

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম জানান, “জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। মরা খালগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি চলমান কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।”

তবে নাগরিকরা বলছেন, প্রতি বছর একই সমস্যা দেখা দিলেও স্থায়ী সমাধান এখনো মিলছে না। বাস্তবায়নের গতি বাড়িয়ে সঠিক তদারকি না করা হলে খুলনার জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে দুর্যোগে রূপ নেবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন