সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

খান ইউনিসে ত্রাণের লাইনে গুলিতে নিহত অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
“ক্ষুধায় মরব, নাকি ত্রাণ নিতে গিয়ে গুলিতে মরব” এ যেন এখন গাজার বাস্তবতা।

মঙ্গলবার সকালে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসে খাদ্য সহায়তা নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন বলছেন, তাঁরা শুধু একটি ব্যাগ ময়দার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।

একের পর এক হামলা
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল জানান, “প্রথমে ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়। এরপর ট্যাংক থেকে শেল নিক্ষেপ করা হয়। মুহূর্তেই বহু মানুষ মারা যান।”
আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাসের হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে, তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিয়মিত হামলার শিকার খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র
ঘটনাটি একদিনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২৬ মে থেকে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) যখন খাদ্য বিতরণ শুরু করে, তখন থেকেই তাদের বিতরণকেন্দ্রগুলো ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এসব হামলা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, খাদ্য সহায়তা নিতে আসা মানুষদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “মানুষ খাদ্যের আশায় দাঁড়িয়ে থাকলে গুলি খাবে এটি মেনে নেওয়া যায় না। এই হত্যাকাণ্ডের জবাবদিহি চাই।”
জাতিসংঘের সহকারী মুখপাত্রও বলেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের সরাসরি লঙ্ঘন।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রধান সড়কে শত শত মানুষ খাদ্য সহায়তার জন্য জড়ো হয়েছিলেন।
হঠাৎই ড্রোন থেকে গুলি ছোড়া হয়। এরপর ট্যাংক থেকে কামান নিক্ষেপ ও ভারী মেশিনগান দিয়ে সরাসরি জনতার দিকে হামলা চালানো হয়।

একটি মানবিক সংকটে রূপ নিচ্ছে যুদ্ধ
এই যুদ্ধ শুধু রকেট ও ট্যাংকের যুদ্ধ নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
একজন ফিলিস্তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা এখন প্রতিদিন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি—‌ক্ষুধায় মরব, না ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মরব?”

বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মানবিক সহায়তা নিতে আসা জনগণের ওপর এমন হামলার ঘটনায় তাত্ক্ষণিক ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন।
কারণ, এই হামলা শুধু আন্তর্জাতিক আইন নয়, মানবতার অন্তিম সীমাও লঙ্ঘন করেছে।

১২৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন