সামরিক সেন্সরশিপ আরোপ করে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য গোপন করেছে ইসরাইল

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ ৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কঠোর সামরিক সেন্সরশিপ আরোপ করেছে, যার ফলে ইরানে পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশে সেন্সর জারি করেছে। এই চারটি স্থানে সরাসরি আঘাতের তথ্য মিডিয়াতে প্রকাশ নিষিদ্ধ, ফলে হামলার পূর্ণ মাত্রা ও প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি জানা যাচ্ছে না। মিডল ইস্ট আইসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও জানিয়েছে, সেন্সরশিপের কারণে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরাও স্বীকার করছেন, সেন্সরশিপের কারণে অনেক তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। কিছু ঘটনা সম্ভবত জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি, এমনকি সাংবাদিকরাও সবকিছু জানেন না বা জানলেও তা প্রকাশের অনুমতি নেই।
ইরানের হামলায় ইসরায়েলের হাইফা ও বাত ইয়াম শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাত ইয়ামে ডজন খানেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত এবং উদ্ধার অভিযান চলছে। হাইফার তেল শোধনাগারে হামলা হয়েছে, যা ইরানের পূর্বঘোষিত প্রতিশোধের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটে সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গবেষণাগারের ভবনে আগুন লেগেছে এবং গবেষণা ও প্রযুক্তি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারি সূত্র বলছে, ইরানের পাল্টা হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ৫৯২ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তবে সেন্সরশিপের কারণে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল সরকার ও সামরিক বাহিনী নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক এড়াতে কঠোর সেন্সরশিপ চালু করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র নয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েল সরকার প্রকৃত তথ্য চেপে যাচ্ছে এবং সেন্সরশিপের কারণে বাস্তব ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তারা অন্ধকারে রয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক সেন্সরশিপের কারণে ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ইসরায়েলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে না। কিছু তথ্য ও ছবিপ্রমাণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাহতের খবর মিললেও, সরকারিভাবে অনেক তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে এবং মিডিয়ার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
১২৫ বার পড়া হয়েছে