সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, মার্কিন যুদ্ধপ্রস্তুতি ও ট্রাম্পের হুমকি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ ৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একদিকে ইরান থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে (তেল আবিব, হাইফা, জেরুসালেম) রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চলেছে, অন্যদিকে ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ও পরোক্ষভাবে কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করছে, আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নজিরবিহীন ভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারে সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছে। আরব সাগরে দুইটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী (USS Carl Vinson ও USS Nimitz) মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া, আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য তিনটি বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার জাহাজও মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যুক্তরাষ্ট্র ৩০টিরও বেশি এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (KC-135, KC-46) ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য অভিমুখে পাঠিয়েছে। এসব ট্যাঙ্কার মূলত দীর্ঘ পাল্লার বিমান অভিযানে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুদ্ধপ্রস্তুতিরই অংশ, যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো ন্যাটোর মহড়ার জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।

বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানে হামলার মতো দীর্ঘ পাল্লার অভিযানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে মাঝপথে রিফুয়েলিং করতে হয়। ইসরায়েলের নিজস্ব ট্যাঙ্কার সংখ্যা সীমিত, তাই বড় আকারের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। তবে মার্কিন প্রশাসন এখন পর্যন্ত সরাসরি রিফুয়েলিং সহায়তার কথা অস্বীকার করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে একাধিকবার সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই-কে “সহজ লক্ষ্য” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “আমরা এখনই তাকে হত্যা করবো না, তবে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারি।” ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা ইরানের আকাশে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছি” এবং তেহরানকে “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ” করতে বলেন।
Truth Social-এ ট্রাম্প লেখেন, “আমরা জানি খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি আপাতত নিরাপদ, কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।” তিনি আরও বলেন, “ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না”—এমন হুঁশিয়ারিও দেন।

এই উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান তার ইরান সীমান্ত বন্ধ করেছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন