ইরান-ইসরাইল সংঘাত: তুরস্কের অবস্থান

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইল সংঘাত যখন নতুন মাত্রা পেয়েছে, তখন আঙ্কারা থেকে এসেছে একাধিক কড়া বার্তা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা একাধিকবার ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
গত ১৬ জুন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “ইসরাইল নিজের অস্তিত্বকে ঝুঁকিতে ফেলছে।” তিনি আরও জানান, “ইরানের ওপর হামলা শুধু একটি দেশের বিষয় নয়, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।” এরদোয়ান স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাগুলো অবশ্যই কূটনৈতিক পথে হওয়া উচিত।
এর আগে ১৩ জুন, ইরানের ওপর ইসরাইলের সামরিক হামলার পরপরই তুরস্কের শাসক দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর চেলিক সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “ইসরাইল পুরো অঞ্চলকে আগুনে জড়িয়ে দিয়েছে। এই বর্বর ও অবৈধ হামলাকে আমরা শক্তভাবে নিন্দা জানাই”। তিনি আরও বলেন, “তুরস্ক সবসময় মধ্যপ্রাচ্যের সংকট কূটনীতি ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে”।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, “কেবল কূটনীতিই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উদ্বেগজনক সংঘাত থামাতে পারে”।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আঙ্কারার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ—ইরানে সহিংস সরকার পরিবর্তন হলে তা তুরস্কের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হবে। তুরস্ক চায় না, ইরান অস্থিতিশীল হোক বা নতুন কোনো সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।
সব মিলিয়ে, তুরস্ক সরাসরি কোনো সামরিক সহায়তা না দিলেও, প্রকাশ্যে ইসরাইলের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আঙ্কারা মনে করে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই এখন আলোচনাই একমাত্র পথ।
১১২ বার পড়া হয়েছে