নওগাঁয় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১-৩ টাকা

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ধান ও চাল উৎপাদনে দেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা নওগাঁয় হঠাৎ করেই চালের দাম কেজিপ্রতি ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব ইতিমধ্যেই স্থানীয় খুচরা বাজারে পড়তে শুরু করেছে।
জেলার বিভিন্ন চালকল ও পাইকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে মিলগেটে জনপ্রিয় সরু চাল যেমন জিরাশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। আর কাটারিভোগ চাল মিলছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, প্রতি মণে ধানের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় মিল মালিকরা চালের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। নওগাঁর বাজারে চালের দামের পরিবর্তন সাধারণত দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও প্রভাব ফেলে।
নওগাঁ শহরের আলুপট্টি এলাকার কয়েকটি বড় চালের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ফলে প্রতি কেজিতে গড়ে ১ থেকে ৩ টাকা দাম বেড়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক সপ্তাহ আগে জিরাশাইল চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হতো ৩ হাজার ৪৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা। কাটারিভোগ চালের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়।
মোটা চালের মধ্যে বিআর-২৮, শুভলতা, পারিজা ও মোয়াজ্জেমের দামও বেড়েছে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে খুচরা বাজারে এসব চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে। জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা, মিনিকেট ৭৪-৭৫ টাকা এবং কাটারিভোগ ৬৮ থেকে ৭২ টাকা প্রতি কেজিতে।
গোস্তহাটির মোড় এলাকার চাল বিক্রেতা উত্তম সরকার জানান, “ঈদের আগেও জিরাশাইল চাল খুচরায় ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন তা ৭২-৭৩ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। একইভাবে কাটারিভোগের দামও বেড়ে গেছে ৭০-৭২ টাকা কেজিতে।”
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, “এ বছর বোরো মৌসুমে প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধান চাষ হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে চালের দামে এই উর্ধ্বগতি।”
তিনি আরও জানান, আগে প্রতি মণ জিরা ধান বিক্রি হতো ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকায়, এখন তা বেড়ে ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৬৭৫ টাকা হয়েছে। কাটারি ধানের ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
১১০ বার পড়া হয়েছে