সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

জি৭ সদস্য না হয়েও কানাডায় সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলো মোদী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জি৭ (G7) সম্মেলনে ভারত সদস্য না হলেও, ২০২৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কানাডার বিভিন্ন মহলে, বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে, ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা গেছে।

শিখ সম্প্রদায়ের উদ্বেগ: কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের অনেক সদস্য অভিযোগ করেছেন, ভারতের সরকার তাদের জীবনের জন্য হুমকি তৈরি করেছে এবং ২০২৩ সালে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোয় তারা ক্ষুব্ধ।

কানাডার লিবারেল পার্টির এমপি সুক ধালিৱালসহ অনেক রাজনীতিক মনে করেন, মানবাধিকার ও বিচারবোধের প্রশ্নে এই আমন্ত্রণ কানাডার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কানাডা ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কানাডা সরকার ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ এনেছে, যা এখনো তদন্তাধীন।

প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই জি৭ সম্মেলনে ভারতের উপস্থিতি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কার্নি জানিয়েছেন, ভারত ও কানাডার মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সংলাপ অব্যাহত থাকবে এবং এই বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।

কানাডার শিখ সম্প্রদায় ও মানবাধিকারকর্মীরা এই আমন্ত্রণের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। অনেক এমপি ও নাগরিক দাবি করছেন, জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়।

জি৭ সদস্য না হয়েও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কানাডায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার, বিচার এবং কূটনৈতিক স্বার্থ—সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন কানাডার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৪৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন