ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই বাংকারে খামেনি: হঠাৎ নয়, পরিকল্পিত নিরাপত্তা

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ৭:২১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করার পর থেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় অবস্থিত একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে অবস্থান করছেন। এটি
কোনো আকস্মিক বা হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়; বরং ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে ও তার পরিবারকে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তেহরানের লাভিজান এলাকার একটি গোপন বাংকারে নেওয়া হয়। নির্ভরযোগ্য ইরানি ও আন্তর্জাতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তার পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে রয়েছেন। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন নয়; এর আগেও ইসরায়েলি হামলার সময় খামেনি একই বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের ব্যবস্থা আগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ইসরায়েলের হামলা মূলত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, হামলায় নাতানজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের মাটির ওপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভূগর্ভস্থ কাসকেড হলে কোনো বড় ক্ষতি হয়নি। ইসরায়েলি হামলার পর ইরানে ব্যাপক নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয় এবং শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। খামেনির বাংকারে অবস্থানও তারই অংশ। ইরান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ভিডিও প্রতিবেদনে তার বাংকারে অবস্থানের বিষয়টি উঠে এসেছে।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলি হামলার পরপরই তেহরানের একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন—এটি হঠাৎ বা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। বরং, চলমান সংঘাত ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় এটি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত ও কৌশলগত পদক্ষেপ।
১২৩ বার পড়া হয়েছে