নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ, সংকটে নেতানিয়াহু

সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইরানের ওপর সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের পর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জোরালো বিতর্ক।
যদিও অনেক ইসরায়েলি নাগরিক তেহরানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানকে সমর্থন করছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে জনগণের আস্থা ক্রমেই কমছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ বলেন, “ইরানকে দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলি জনগণ শত্রু হিসেবে দেখে, কারণ তারা বিশ্বাস করে ইরান হামাস ও হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে। কিন্তু যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর ওপর জনগণের আস্থা নেই। তার অনেক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে মনে করছে জনগণ।”
তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধের শেষ কোথায় এবং কীভাবে তা শেষ হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সেনাবাহিনীর প্রতি এখনো আস্থা আছে, তবে সরকারের প্রতি নয়।”
নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান বর্তমানে বেশ দুর্বল। কয়েক বছর ধরেই দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিনি জনমতের চাপে আছেন। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি তার অবস্থান আরও নড়বড়ে করে তুলেছে।
এদিকে মার্কিন প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে এক পরিকল্পিত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ পরিকল্পনার বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং কূটনৈতিক পথেই সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।
ইরানে চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত এবং ১,২৭৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক। অপরদিকে, ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১৪ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৮০। এই সহিংসতা দুই দেশেই সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ঘিরে ইসরায়েলি সমাজে এখন বড় প্রশ্ন—নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধ কি প্রকৃত অর্থে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, নাকি এটি কৌশলগত রাজনৈতিক চাল? দেশের ভেতরেই বাড়ছে গণঅসন্তোষ, যা শিগগিরই এক গণআন্দোলনে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
১২৭ বার পড়া হয়েছে