চতুর্থ দিনে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি

সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ ২:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাতভর ইরান মধ্য ও উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে অন্তত ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে।
হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল তেল আবিব, হাইফা, তামরা, বাত ইয়াম, রামাত গান ও রিশোন লেজিওনসহ গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সামরিক স্থাপনা।
ইসরায়েলের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা ও স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। বিশেষ করে তামরা শহরে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে একাধিক ভবন ধসে পড়ে, এতে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। হাইফা অঞ্চলে একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ২০ বছর বয়সী এক যুবতী নিহত হন এবং আরও ১৪ জন আহত হন। মধ্য ইসরায়েলের রামাত গান ও রিশোন লেজিওনে তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং অন্তত ৮০ জন আহত হন। শফেলা অঞ্চলে আরও ৩৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্র, বিমানঘাঁটি এবং মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা ও আবাসিক ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলের পশ্চিম গ্যালিলি অঞ্চলে একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়ে তিন নারী নিহত হন। বাত ইয়াম ও তামরার মতো শহরে বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও ‘স্বল্পসংখ্যক’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ভেদ করে শহরগুলোতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
১২৪ বার পড়া হয়েছে