সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইরানের ‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্রের চমক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ ১:১০ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে ইরানের সদ্য উন্মোচিত অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘হাজ কাসেম’।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন থাড, প্যাট্রিয়ট এবং ইসরাইলের আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম।

ইরানি বাহিনী দাবি করেছে, ‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইসরাইলের বন্দর নগরী হাইফা, বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব, বাত ইয়াম ও উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরের একাধিক কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে; তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ১০ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩৫ জন।

‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্রটি কঠিন জ্বালানি-চালিত এবং এর পাল্লা ১,২০০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও ম্যানুভারেবল ওয়ারহেড, যা রাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে পারে। ইরান দাবি করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইলেকট্রনিক যুদ্ধের পরিস্থিতিতেও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

বিশ্লেষকদের মতে, ‘হাজ কাসেম’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ব্যবহার ইরানের কৌশলগত সক্ষমতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতদিন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত বলে বিবেচিত হলেও, এই হামলা সেই ধারণায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। ইরান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—তারা এখন আরও উন্নত ও আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সক্ষমতা অর্জন করেছে।

ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। ইরান বলছে, এই হামলা ছিল ইসরাইলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন