শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের লংমার্চে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের তিন দফা দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে আন্দোলনকারীদের দিকে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এর আগে সকালে ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। তবে পুলিশ সচিবালয় এলাকা সংবেদনশীল উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অপারগতা প্রকাশ করলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন পুলিশ সদস্যরা তাদের থামিয়ে দেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন, কিন্তু পুলিশ অতর্কিতে আক্রমণ চালায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, "প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের দিকে এগোলে আমরা প্রথমে অনুরোধ করি ফিরে যেতে। কিন্তু তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং বাধ্য হয়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এতে পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।"
তিনি আরও জানান, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচজন প্রতিনিধিকে সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সেখান থেকে ফিরে এসে জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ডিসি মাসুদ আলম।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা যে তিনটি মূল দাবি তুলেছেন, সেগুলো হলো—
১. ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সচিবালয় এলাকা ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পুরো এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১২৫ বার পড়া হয়েছে