ইসরায়েলে ইরান ও ইয়েমেনের সমন্বিত মিসাইল হামলা

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ ৮:০০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে একযোগে ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইয়েমেনের হুতিরা।
স্মরণকালের ভয়াল এই হামলায় দেশটির বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছুটেছে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে।
রোববার (১৫ জুন) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের চলমান হামলার মধ্যেই ইয়েমেন থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে ইসরায়েলের দিকে। ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা তেলআবিব অঞ্চলের ‘সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে’ দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যা ছিল ইরানের সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ।
তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। কেবল শুক্রবার একটি মিসাইল পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি শহরে আঘাত হানার কথা তারা নিশ্চিত করেছে, যেখানে কয়েকজন আহত হন।
শনিবার রাতের এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তেলআবিব, হাইফা, জেরুজালেম, বাত ইয়ামসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে। হামলার পরপরই একের পর এক উদ্ধারকাজ শুরু করে হোম ফ্রন্ট কমান্ড।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেটের তথ্য অনুযায়ী, বাত ইয়ামে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর অন্তত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, হামলার সময় দায়িত্ব পালন শেষে বিদেশ থেকে ফিরেছেন এক ইসরায়েলি নারী পাইলট, যিনি হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।
রাত পেরিয়ে সকালে হামলার ভয়াবহ চিত্র ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ভাঙা ঘরবাড়ি, ধ্বংসস্তূপ, আহত মানুষের কান্না, আর নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে বিভ্রান্ত জনতা।
১২৭ বার পড়া হয়েছে