ইরানি মিসাইল হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৭

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ ৩:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
শনিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
রাতভর চলা এ হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আঘাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইসরায়েলজুড়ে।
ইসরায়েলি সূত্র জানায়, হামলার সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় শহর হাইফায়। হাইফার পূর্বাঞ্চলের তামরা শহরের একটি জ্বালানি কেন্দ্রে মিসাইল আঘাত হানলে সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ইরানি হামলায় ওই কেন্দ্রের জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে তিনজন ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারান।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেই এই হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও এত সংখ্যক ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলও হামলা চালায় ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে। টার্গেট করা হয় ইরানের অন্যতম বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র এবং বন্দর আব্বাস অঞ্চল। ইসরায়েলি মিসাইল আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরান তেল মজুদ কেন্দ্রে, যেখান থেকে তেহরানসহ আশেপাশের অঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। হামলার শিকার হয় ইরানের প্রতিরক্ষা দপ্তরও।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা তেহরান পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রস্তুত। আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা আমরা ধ্বংস করবো। ইরান ২০ হাজার মিসাইল তৈরির পরিকল্পনা করছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে রয়েছে। কিন্তু আমরা তা কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেবো না।”
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার এই সর্বশেষ পর্বে যুদ্ধাবস্থার সম্ভাবনা আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
১২২ বার পড়া হয়েছে