গাজা সংকট: গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংস

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৫৮ থেকে ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আহত হয়েছেন শতাধিক। বিশেষ করে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে হামলায় ১৫ জন নিহত ও ১২৫ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা ও খান ইউনুস শহরে ইসরায়েলি হামলা সবচেয়ে বেশি তীব্র হয়েছে। রাফার ৯০ শতাংশ বাড়ি ও অবকাঠামো ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে, সুপেয় পানির কূপ, হাসপাতাল ও স্কুল কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত, খাদ্য, পানি ও ওষুধের মারাত্মক সংকট চলছে।

ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে খান ইউনুস ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষকে সরিয়ে যেতে বলেছে, ফলে হাজার হাজার মানুষ আবারও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় মানবিক বিপর্যয় ও চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে পড়েছে এবং তারা রকেট উৎপাদন বা টানেল নির্মাণে আর সক্ষম নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি বা শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই; বরং সংঘাত আরও বিস্তৃত হচ্ছে। চলমান এই সংঘাতে গাজায় মোট প্রাণহানি ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৮-৭৯ জন নিহত, শতাধিক আহত, অবকাঠামো ধ্বংস, মানবিক সংকট চরমে। যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না; বরং সংঘাত আরও জটিল আকার ধারণ করছে।