সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা: তদন্তে ব্ল্যাকবক্স, নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ ২:০৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর এআই১৭১)।

বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন এবং হোস্টেলে থাকা বহু শিক্ষার্থীসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭০-এরও বেশি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্স, আর নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

 

বিমান বিধ্বস্তের পরপরই উদ্ধারকাজের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার হয় বিমানের ব্ল্যাকবক্স। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, ব্ল্যাকবক্সের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাইলট সুমিত সবরওয়ালের শেষ বার্তা ছিল ‘মে ডে’। এরপর আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। ব্ল্যাকবক্সে থাকা ফ্লাইট ডেটা ও ককপিট ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের আশা করা হচ্ছে।

 

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ায় অধিকাংশ মরদেহ চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে, নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষ। আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ফরেনসিক টিম মিলিয়ে দেখছে মরদেহের সঙ্গে। ইতিমধ্যে কিছু মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়েছে।

 বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে থাকা অন্তত ৩০ শিক্ষার্থীও প্রাণ হারিয়েছেন।

টাটা গোষ্ঠী নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি এবং এয়ার ইন্ডিয়া অতিরিক্ত ২৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

 

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বহরের বিমানের বিশেষ পরিদর্শন শুরু করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ফ্লাইট নম্বর ১৭১ আর কোনো বিমানে ব্যবহার করা হবে না।

 

এই দুর্ঘটনা শুধু প্রযুক্তিগত বা মানবিক ভুলের পরিণতি নয়, বরং বিমান নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশাসনিক জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনে দিয়েছে। তদন্তের স্বচ্ছতা ও দায়ীদের বিচারের দাবি উঠেছে সর্বত্র। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কড়া পদক্ষেপ ও নিয়মিত নজরদারি জরুরি এটাই এই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

১৩৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন