সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইরানের পাল্টা সামরিক অভিযান অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি হামলায় কাঁপলো ইসরাইল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ ৫:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সরাইলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর পর ১৩ জুন, ২০২৫ রাতে ইরান শুরু করে তাদের সবচেয়ে বড় ও সংগঠিত পাল্টা সামরিক অভিযান—অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি।

এই হামলার সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তার স্বার্থে বাংকারে আশ্রয় নেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীরা নিহত হলে, ইরান প্রতিশোধের ঘোষণা দেয়। এরপর রাতেই ইরান ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এর নেতৃত্বে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি চালু করে।ইরান ১০০টিরও বেশি ড্রোন ও ১৫০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র একযোগে ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করে।ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি, বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এবং রাজধানী তেল আবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ শহর। অপারেশনটি শুরু হয় “ইয়া আলি ইবনে আবি তালিব” স্লোগানে এবং ঈদুল গাদিরের রাতে।

লক্ষ্যবস্তু ছিলো, ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা দপ্তর, তেল আবিব ও অন্যান্য প্রধান শহরের কৌশলগত স্থাপনা।

একযোগে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলানো হয়। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে তেল আবিবে আঘাত হানে। ইরানি মিডিয়া দাবি করে, ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিতে “অভূতপূর্ব ক্ষয়ক্ষতি” হয়েছে এবং কিছু জায়গায় ভবন ধসে পড়ে আগুন ধরে যায়।

ইসরাইলি জরুরি সেবা সংস্থা জানায়, অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তেল আবিবে একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত, আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, কিছু হামলা সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

 

হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাংকারে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতানিয়াহুর বাংকারে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লেও, কিছু ভিডিও পুরনো বলে যাচাই হয়েছে।

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই বলেন, “ইসরাইল বড় ভুল করেছে, তাদের কঠিন মূল্য দিতে হবে।” IRGC জানায়, এই হামলা ছিল “নির্ভুল ও চূর্ণকারী প্রতিশোধ”।

 

অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বের সবচেয়ে বড় ও সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ। ইরান দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কৌশলগতভাবে সংগঠিত ও ব্যাপক পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম। ইসরাইলও প্রতিরক্ষায় সক্ষমতা দেখালেও, এই হামলা তাদের নিরাপত্তা ও মনোবলে বড় ধাক্কা দেয়। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, উভয় পক্ষই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন