সর্বশেষ

খেলা

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অনুপস্থিতি: প্রশ্ন উঠছে ‘দাদাগিরি’ নিয়ে!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫ ১:১১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আগামী ১১ থেকে ২২ জুলাই ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ।

শুরুতে পাঁচটি দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান—এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ভারত নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটেও পরিবর্তন এসেছে; এখন চারটি দেশ রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলবে এবং সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দলই হবে চ্যাম্পিয়ন।
তবে ভারতের এই আকস্মিক সরে দাঁড়ানো নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে ভারত বরাবরই নিজেদের ‘বড় ভাই’ বা ‘দাদা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়—এমন অভিযোগ বহুদিনের। এবারও অনেকের মনে প্রশ্ন, ভারতের এতো দাদাগিরি কেনো?

 

দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে ভারতের আধিপত্য নতুন কিছু নয়। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগেই ভারত নিয়মিতভাবে সাফের ফাইনালিস্ট ও চ্যাম্পিয়ন। তাদের অংশগ্রহণ না করায় টুর্নামেন্টের গুরুত্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভারসাম্য নষ্ট হয়—এমন অভিযোগও আছে। অথচ, ভারতীয় ফুটবল কাঠামো ও প্রশাসনে কর্পোরেট ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, এবং কখনো কখনো নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখার প্রবণতা নিয়ে বারবার সমালোচনা হয়েছে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ফুটবল প্রশাসনে কর্পোরেট ও রাজনৈতিক প্রভাব এতটাই বেশি যে, অনেক সময় আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তও এসব স্বার্থের বলি হয়। ইগর স্টিমাচের মতো কোচদের অভিযোগ, জাতীয় দলের প্রস্তুতি, খেলোয়াড় নির্বাচন, এমনকি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ—সব কিছুতেই থাকে বাইরের চাপ ও অদৃশ্য দাদাগিরি।

 

ভারতের না থাকায় এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা বেড়েছে। তবে এতে দক্ষিণ এশীয় নারী ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারতের মতো বড় দলের অনুপস্থিতি টুর্নামেন্টকে কিছুটা একপেশে করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা, কর্পোরেট ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে নিজেদের ‘দাদাগিরি’ দেখানোর প্রবণতা—সব মিলিয়ে ভারতের এই অনুপস্থিতি শুধু সাফ নয়, গোটা দক্ষিণ এশীয় ফুটবলের জন্যই হতাশাজনক বার্তা। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—ভারতের এই দাদাগিরি কবে শেষ হবে? দক্ষিণ এশীয় ফুটবলের স্বার্থেই কি সময় এসেছে ভারতকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে?

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
খেলা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন