কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইউনুস-তারেক বৈঠক

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫ ৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বৈঠক বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা এবং সমঝোতার সম্ভাবনাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। সরকার ও বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা মতপার্থক্যের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ড. ইউনূসের সফর ও তারেক রহমানের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে পারে। এতে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমর্থন ও আগ্রহ দেখাতে পারে। বিশেষ করে, ড. ইউনূসের এই সফরে যুক্তরাজ্যের রাজা, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করছে।
এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমঝোতার বার্তা যেতে পারে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও সংলাপের পরিবেশ তৈরি হতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকটি হলে সাধারণ জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশার বার্তা পৌঁছাতে পারে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানোর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সরকার ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও, এই বৈঠক রাজনৈতিক সমঝোতার দ্বার উন্মুক্ত রাখার বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ ও সহায়তার বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। এই বৈঠক হলে জনগণ উপকৃত হবে—এমন বার্তা রাজনৈতিক মহল ও সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে।
১৩ জুন লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, তবে বৈঠকের নির্দিষ্ট স্থান, সময় বা কাঠামো সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের এই সম্ভাব্য বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমঝোতা, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার বার্তা দিচ্ছে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে