কোরবানির ঈদে কমেছে সবজির চাহিদা, বাজারে দাম পড়তির দিকে

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫ ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির চাহিদা ও সরবরাহ দুই-ই কমে গেছে।
ফলে ঈদের পর কয়েক দিনের জন্য সবজির দামও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে তারা ধারণা করছেন, আগামী সপ্তাহে নগরবাসী ঢাকায় ফিরে এলে চাহিদা বাড়বে এবং সে অনুযায়ী আবার সরবরাহ ও দামও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার তুষারধারা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দোকানই বন্ধ। হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও সেখানে পণ্য ও ক্রেতা—দুই-ই সীমিত।
সবজি বিক্রেতা আলিম হোসেন বলেন, “ঈদের সময় বেশিরভাগ মানুষই গ্রামের বাড়িতে গেছে। তাছাড়া এখন ঘরে ঘরে মাংস থাকায় সবজির প্রতি চাহিদা কমে গেছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী কম পণ্য তুলছি। তবে আশা করছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে।”
ক্রেতা আমির হোসেন জানান, “সবাই এখন কোরবানির মাংসে মনোযোগী, তাই সবজির চাহিদা কম। তবে আমরা মাংসের সঙ্গে সবজি খেতে পছন্দ করি। তাই বাজারে এসেছি। দামও তুলনামূলকভাবে কম।”
ঈদের আগে বাজারে যে সবজির দাম বেড়েছিল, ঈদের দিন পার হতেই সেগুলোর দাম কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সালাদের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত শসা, গাজর, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও লেবুর দাম ঈদের আগের তুলনায় এখন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে বাজারে হাইব্রিড শসা প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকা এবং দেশি শসা ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা এবং টমেটো ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। লেবুর হালি মিলছে ২০-৩০ টাকায়।
এছাড়া অন্যান্য সবজির দামের দিকেও দেখা গেছে কিছুটা স্থিতিশীলতা। পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, আর কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা ও বেগুন ৫০-৮০ টাকা কেজিতে মিলছে।
বিক্রেতাদের ধারণা, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে লোকজন ফিরলে বাজারে আবারও চাহিদা ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং তার সঙ্গে বাড়তে পারে সবজির দামও।
১০৯ বার পড়া হয়েছে