ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, ভ্রমণে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫ ৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংস্থাটি বলেছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় জানানো হয়, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট—এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ বর্তমানে বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভ্যারিয়েন্ট আন্তর্জাতিক যাত্রীদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জনসচেতনতা বাড়াতে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রচার করতে হবে। সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর গবেষকরা জানান, সম্প্রতি করোনার আরও দুটি নতুন ধরন—এক্সএফজি এবং এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো জেএন-১ এর উপধরন এবং সংক্রমণ ক্ষমতা অধিক।
স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়েছে, দিনে অন্তত সাতবার বা প্রয়োজন অনুযায়ী ২৩ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় ব্যবহার, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করাসহ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সন্দেহজনক রোগীদের ঘরে অবস্থান ও প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জটিল ক্ষেত্রে রোগীদের আইইডিসিআরের হটলাইন ০১৪০১-১৯৬২৯৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সর্বসাধারণের সচেতনতার মাধ্যমেই নতুন এ ভ্যারিয়েন্টগুলোর সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব।
১০৭ বার পড়া হয়েছে