সর্বশেষ

ধর্ম

আজ পবিত্র হজ, মিনা-মুজদালিফায় মুখর লাখো হজযাত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৫ জুন, ২০২৫ ৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আজ ৯ জিলহজ, পবিত্র হজের দিন। হিজরি ১৪৪৬ সনের হজ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পবিত্র ভূমি মক্কা।

ইহরাম পরিহিত হাজিদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে— ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’, প্রতিধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে গোটা মিনা উপত্যকা।

হজযাত্রীরা ইতোমধ্যেই মিনায় অবস্থান করছেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এরপর তারা রওনা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে, যেখানে রাতযাপন শেষে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

হজের অন্যতম প্রধান রোকন, আরাফার ময়দানে অবস্থানের জন্য আজ সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন হজযাত্রীরা। মিনায় রাত কাটিয়ে তারা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফায় পৌঁছাবেন। সেখানে তারা জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন এবং মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা শুনবেন।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে এসেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি, যার মধ্যে ২ লাখ ২১ হাজারেরও বেশি ছিলেন স্থানীয়।

চলমান হজ উপলক্ষে সৌদি সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এবং ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় গঠিত হয়েছে। হজযাত্রীদের সহায়তায় ৫০ হাজার বর্গমিটারের বেশি ছায়াযুক্ত এলাকা তৈরি, ৪০০টির বেশি শীতলীকরণ ইউনিট ও হাজার হাজার চিকিৎসাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

সৌদি হজমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া জানান, এবারের হজে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ এবং অনুমতিপত্র ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে ৫ হাজার ডলার জরিমানা ও ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর হজ মৌসুমে যারা মৃত্যুবরণ করেন, তাদের ৮০ শতাংশই নিবন্ধনবিহীন ছিলেন। ফলে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মিশরীয় ও ইন্দোনেশীয় ছিলেন।

উল্লেখ্য, হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হজ পালন ফরজ। হজের শুরুতেই পুরুষ হজযাত্রীরা সাদা দুটি কাপড়ের ইহরাম পরিধান করেন এবং নারীরা শালীন পোশাক ও মাথা ঢেকে ইহরামের নিয়তে প্রবেশ করেন।

হজের অংশ হিসেবে তাওয়াফ ও সাঈ শেষে হজযাত্রীরা মিনায় পৌঁছান। পরে তারা আরাফার ময়দানে গিয়ে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রদত্ত বিদায় হজের ঐতিহাসিক খুতবা শ্রবণ করেন।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
ধর্ম নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন