‘ট্যাংকম্যান’: একা এক সাহসী প্রতিবাদ

বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫ ৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
১৯৮৯ সালের ৪ জুন, চীনের বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছাত্র ও নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী অভিযান চালায় সামরিক বাহিনী।
সেই দিন ও পরদিন হাজার হাজার মানুষ নিহত হন বলে ধারণা করা হয়, যদিও চীন সরকার এ বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেনি।
এই দমন-পীড়নের পরদিন, ৫ জুন, বিশ্ব এক অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়: সাদা শার্ট পরা, হাতে বাজারের ব্যাগ ধরা এক ব্যক্তি একাই দাঁড়িয়ে পড়েন এগিয়ে আসা ট্যাংকের বহরের সামনে। কেউ তাঁকে চেনে না, তাঁর নামও নিশ্চিত নয়। তবে ‘ট্যাংকম্যান’ হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন বিশ্বজুড়ে।
বেইজিং হোটেল থেকে তোলা সেই ছবিটি হয়ে ওঠে সাহস, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচারের এক প্রতীক। মাত্র কয়েক মিনিটের সেই দৃশ্য আজও ইতিহাসে অমর হয়ে আছে—যেখানে একজন সাধারণ মানুষ কর্তৃত্ববাদী শক্তির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়, নিরস্ত্র হয়েও।
তিয়েনআনমেন বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গণতন্ত্র, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে। হু ইয়াওবাংয়ের মৃত্যু সেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। সরকার শেষ পর্যন্ত সামরিক আইন জারি করে এবং ৪ জুন রাতে সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমন করে।
চীনা সরকারের দাবি, তাতে ৩০০ জন নিহত হয়। তবে পশ্চিমা বিভিন্ন সূত্র মতে, নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। অনেক বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হন, ২৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ ঘটনা আজও চীনে সেন্সরের আওতায়, ট্যাংকম্যানের পরিচয় ও ভাগ্য আজও অজানা। কিন্তু তাঁর প্রতীকী প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থানের স্মারক হয়ে রয়ে গেছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে