খোকসায় মাতৃমন্দিরে শেখ সাদীর সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫ ৫:৩৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী "খাড়রবাড়িয়া মাতৃ মন্দির, একতারপুরহাট" এ সম্প্রতি এক বিশাল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এঅনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ধর্মপ্রাণ ভক্ত ও সাধারণ মানুষ। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা প্রচার করা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের বিএনপি নেতা, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি, এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী। তিনি এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।
মন্দিরটি শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়; এটি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এর স্থাপত্যশৈলী, ইতিহাস ও পরিবেশে রয়েছে এক অপূর্ব সৌন্দর্য। এই মন্দিরের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অন্যকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করার মনোভাব জন্ম নেয়। মন্দিরের পবিত্র পরিবেশে প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ ভিড় করেন, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন, প্রার্থনা করেন এবং একে অন্যের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “আমরা সবাই মানুষ, আমাদের মূল পরিচয় হলো মানুষ। ধর্ম, ভাষা বা সংস্কৃতি যতই ভিন্ন হোক না কেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একে অন্যের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা। এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। বাংলাদেশে বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতি একত্রে মিলিত হয়ে আমাদের শক্তি ও অহংকার হিসেবে কাজ করে।”
শেখ সাদী তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সমৃদ্ধ হয়, যখন তার মানুষগুলো একে অন্যের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও অনুভূতিকে সম্মান করে। ধর্মের নামে বিভাজন নয়, বরং মানবতার জন্য আন্তরিকতা ও সহানুভূতি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য নিয়ে বসবাস করবে।”
এ সময় মন্দিরের পুরোহিত ও স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সাথে শেখ সাদী আন্তরিক কথাবার্তা বলেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনা হয় এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “ধর্ম নয়, মানুষই আমাদের প্রধান পরিচয়। সবাই যেন সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সেই জন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে সমাজের একতা ও শান্তির বার্তা প্রদান করে। স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এটি আরও এক ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের শক্তি হচ্ছে বিশ্বাস, সম্মান ও সহযোগিতা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
খোকসার এই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেখ সাদীর সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা স্থানীয় সমাজে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এতে আমাদের সমাজ হবে আরও সুন্দর, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে