মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নামার প্রত্যাশা

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে চলতি এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে আগামী জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কমে যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শিল্পখাতে অস্থিরতা এবং বিগত সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংকিং খাতের সংকটের মতো বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী আয়ের উন্নতি, রপ্তানি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা, কৃষি ও শিল্প খাতের উৎপাদন অব্যাহত থাকা এবং সঠিক মুদ্রা ও রাজস্বনীতির সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অর্জনের পথে অনেক অগ্রগতি করেছি। তবে এখনও কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে যা আমাদের সামনে তৈরি করছে চ্যালেঞ্জ।
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা এবং সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করেছি, যার ফলে সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১০ শতাংশে অবস্থান করছে।
মুদ্রানীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে সামগ্রিক সরকারি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, যা ইতিবাচক ফলাফল দেখাতে শুরু করেছে। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল বলে তিনি জানান।
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা বজায় রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা অপরিহার্য। এর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এপ্রিল মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, আমরা ১৪ মে থেকে বাজারভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় হার চালু করেছি।
১২৮ বার পড়া হয়েছে