খুন ও হত্যাচেষ্টার তিন মামলায় আইভী'র জামিন নামঞ্জুর

সোমবার (২ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এই আদেশ দেন। তবে শুনানির সময় আদালতে আইভী উপস্থিত ছিলেন না।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া দুটি হত্যা মামলা ও একটি হত্যা চেষ্টার মামলায় আইভী এজাহারভুক্ত আসামি। এসব মামলায় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করেন।

আইভীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, “তিনটি মামলায় জামিন চেয়েছিলাম, কিন্তু আদালত সবগুলো আবেদনই নামঞ্জুর করেছেন। শুনানির সময় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি, কারণ তা আবশ্যক ছিল না।”

গ্রেফতার ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপট
গত ৮ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার ‘চুনকা কুটির’ নামের নিজ বাড়ি থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেন বাঁশ ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে এবং এলাকার মসজিদের মাইকে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

পরদিন ৯ মে ভোরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন তাকে পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তুহিন হত্যা ও নাদিম হত্যা চেষ্টার মামলায়ও গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

এই তিন মামলায় ৫ দফা জামিন আবেদন করা হলেও আদালত প্রত্যেকবার তা নামঞ্জুর করেছেন। জানা গেছে, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইভীর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মিলিয়ে মোট ৬টি মামলা রয়েছে।