রেমিট্যান্সে ইতিহাস গড়ার পথে বাংলাদেশ: ১১ মাসে এসেছে ২৭.৫০ বিলিয়ন ডলার

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫ ৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে নতুন গতি এসেছে।
এই সময়কালে দেশে এসেছে মোট ২৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি প্রবণতা বজায় থাকলে পুরো অর্থবছরে রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “বর্তমানে অর্থপাচার বন্ধ হয়েছে এবং হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর হার ভালো ও নিরাপদ হওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন।”
মে মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স
সদ্যবিদায়ী মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স—দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।
এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল এপ্রিলে, আর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল মার্চে—৩২৯ কোটি ডলার।
মাসওয়ারি রেমিট্যান্সের পরিসংখ্যান (২০২৪-২৫ অর্থবছর)
জুলাই: ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার
আগস্ট: ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার
সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার
অক্টোবর: ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার
নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার
ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার
জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার
ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার
মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার
এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার
মে: ২৯৭ কোটি ডলার
প্রবাসীদের পাঠানো বৈধ রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। সরকারি নীতিমালার উন্নয়ন, হুন্ডি প্রতিরোধ এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থাই এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে