সাত দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের মহাসমাবেশের ডাক

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫ ৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চেয়ারম্যান অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, দীর্ঘ ১২ দিন ধরে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় এবার বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেদিন তাজুল ইসলাম বলেন, “সোমবার সব পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র চালু থাকবে, তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহীদ মিনারের মহাসমাবেশে যোগ দেবেন।”
প্রতিদিনই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা শহীদ মিনারে আসছেন। রোববার, অবস্থান কর্মসূচির ১২তম দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “দেশে আর বৈষম্যের জায়গা নেই। যারা মাঠে থেকে বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করছে, তাদের দাবিগুলো একেবারেই ন্যায্য। সরকার যেন অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে।”
এনসিপির শীর্ষ নেত্রী সামান্তা শারমিন বলেন, “পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এখনো পুরনো স্বৈরাচারী কাঠামোর ফাঁদে বন্দি। এই কাঠামো ভাঙতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবি হলো:
১. আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, যিনি ফ্যাসিবাদী কায়দায় কর্মীদের দমন-পীড়ন করছেন;
২. অভিন্ন চাকরিবিধি চালু করে আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূতকরণ বা পুনর্গঠন;
৩. মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক ও পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ;
৪. মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল;
৫. শাস্তিমূলক বদলি বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের পদায়ন;
৬. জরুরি সেবার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়ন;
৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন। তাদের অভিযোগ, চাকরির নিরাপত্তা, মানবিক কর্মপরিবেশ এবং বৈষম্যহীন কাঠামো গঠনের জন্য বহুদিন ধরে দাবি জানালেও বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই।
এখন দেখার বিষয়, সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলোর বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
১২৪ বার পড়া হয়েছে