ভূতুড়ে কাণ্ড, একে একে অচেতন হয়ে পড়েন ব্যাংকের সবাই

হঠাৎ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী একে একে অচেতন হয়ে পড়েন। তবে প্রশাসনের দাবি, শাখাটি থেকে কোনো অর্থ চুরি বা ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যাংকের ম্যানেজার সৌমিক জাহান খান, সহকারী ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান, কর্মকর্তা সিয়াম রহমান, হোসনা রহমান, নিরাপত্তাকর্মী কামাল হোসেনসহ মোট ছয়জন কর্মী অচেতন হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা সবাই বমি করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে একজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, সবাই নিজ নিজ ডেস্কে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। ক্যাশ কাউন্টারের সামনের কাঁচও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। শাখা ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তাকর্মীকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আদনান বলেন, ভুক্তভোগীদের শরীরে বিশেষ কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে, যার ফলে তারা অচেতন হয়ে যান। বিষয়টি আরও তদন্তের দাবি রাখে।

ঘটনার পর ব্যাংকের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা জানান, বৃষ্টি চলাকালে ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ব্যাংকে প্রবেশ করেন। তার আগমনের কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীরা একে একে অচেতন হয়ে পড়েন।

ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুস সাকিব বলেন, “ব্যাংকের লকার বা নগদ অর্থে কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে কাজ চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”