মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির আক্রমণাত্মক কৌশল, আলোচনায় বাংলাদেশ

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ১:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরবঙ্গ সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দক্ষিণবঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রোববার কলকাতার এক স্টেডিয়ামে বিজেপির সাংগঠনিক সভায় অংশ নেন অমিত শাহ। সভামঞ্চ থেকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, তৃণমূল সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং বাংলাদেশিদের জন্য সীমান্ত ‘খুলে দিয়েছে’।
অমিত শাহ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে। তারা বিএসএফকে প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না। এতে সীমান্তরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তৃণমূল চায় অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকুক, কারণ তারা ভোটের রাজনীতি করে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটব্যাংকের তুষ্টির জন্য ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করেছেন। অমিত শাহের কথায়, “অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করে বাংলার মা-বোনদের অপমান করেছেন মমতা দিদি। ২০২৬-এ এর যোগ্য জবাব দেবে বাংলার মানুষ।”
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল পাকিস্তান সীমান্তে নারীদের রক্ষা সংক্রান্ত সামরিক পদক্ষেপ, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি এই ইস্যুকে হিন্দু নারী সেন্টিমেন্ট উসকে দিতে ব্যবহার করছে।
অমিত শাহের এই সফরকে ঘিরে রাজ্য বিজেপির মধ্যে উত্সাহের জোয়ার দেখা গেছে। কলকাতা বিমানবন্দরে শনিবার রাতে তাকে স্বাগত জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চ্যাটার্জিসহ একাধিক নেতা।
বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পর অমিত শাহের উপস্থিতি বড় বার্তা দিচ্ছে রাজনীতিতে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদি-শাহের টানা সফর এবং অনুপ্রবেশ ও সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ একটি সুসংগঠিত নির্বাচনি কৌশলের অংশ। ফলে ২০২৬ সালের ভোটের আগে এই ইস্যুগুলো কতটা গুরুত্ব পায়, তা এখন দেখার বিষয়।
১১৮ বার পড়া হয়েছে