সর্বশেষ

সারাদেশ

মেঘনায় ট্রলার ডুবি: দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন শিশু রোহিঙ্গা।

নিহতরা হলেন—ভাসানচর থানার সাব-পোস্ট মাস্টার মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩), যিনি ফেনী পৌর এলাকার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা, এবং ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা মো. তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।

রোববার (১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। এর আগে, শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিমবাজার সংলগ্ন ডুবাচরের কাছে মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন—সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৮) এবং রোহিঙ্গা শিশু মো. তামিম (৩), যিনি হাসিনা খাতুনের ছেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে চারজন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবাচরের কাছে ট্রলারটি ঝড়ো বাতাস ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

ওসি আজমল হুদা জানান, ট্রলারটির ৩৯ যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া এক যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকা থেকে আরও এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১২৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন