সর্বশেষ

সারাদেশ

চাঁদা না দেয়ায় বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীর মিলে হামলার অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর বাজারে বিএনপি সমর্থক এক ব্যবসায়ীর রাইচ মিলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

চাঁদা না দেওয়ায় এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ মে সন্ধ্যায়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ইসরাফিল প্রামানিক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠু তাদের অনুসারীদের নিয়ে রফিকুল ইসলাম পলাশের মালিকানাধীন ‘বিশ্বাস রাইচ মিল’-এ হামলা চালান।

ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম পলাশের অভিযোগ, ইসরাফিল প্রামানিক তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। তিনি তা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা মিলের সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে, মিলের টিনের বেড়া কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং বাধা দিতে আসা চারজনকে মারধর করে আহত করে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিল থেকে চার বস্তা সরিষা ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন তিনি।

২৮ মে সাঁথিয়া থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন যুবলীগ নেতা ইসরাফিল প্রামানিক ও ছাত্রলীগ নেতা মিঠু।

এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, ইসরাফিল প্রামানিক এর আগেও ঢাকার পল্টন থানায় বিস্ফোরক মামলা ও সাঁথিয়ায় একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইসরাফিল মেম্বার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। আমি ন্যায়বিচার চাই।”

নন্দনপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলী মর্তুজা বলেন, “এ ধরনের হামলায় ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই।”

তবে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ইসরাফিল প্রামানিক। তিনি বলেন, “সেদিন আমার ওয়ার্ডে একটি ঝামেলায় ব্যস্ত ছিলাম। রফিকুল ও তার লোকজন আমার ভাই মিন্টুর বিকাশ দোকানে হামলা ও লুটপাট করে। পরে তারা নিজেরাই রাইচ মিল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। আমরাও পাল্টা মামলা করেছি।”

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, “উভয়পক্ষই থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। রফিকুলের মামলায় ১৭ জন এবং মিন্টুর মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

২৪৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন