সর্বশেষ

সারাদেশ

ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা শঙ্কা: সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁয়ে আতঙ্কে ঘরমুখো মানুষ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চল সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের অস্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফাঁকা রেখে যাতায়াতের সময় ছিনতাই-ডাকাতির আশঙ্কায় অনেকে গ্রামে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি ফাঁকা রেখে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই এবারের ঈদ কর্মস্থলে থেকেই উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

চিটাগাংরোড এলাকার একটি মার্কেটের কর্মচারী মো. আলাল উদ্দিন বলেন, “প্রতি বছর ঈদে গ্রামের বাড়ি যাই, কিন্তু এবার যাচ্ছি না। এখনকার পরিস্থিতিতে বাসা খালি রেখে যাওয়া নিরাপদ মনে হচ্ছে না।”

এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদমজী ইপিজেডের গার্মেন্টস কর্মী ইয়াছিন আরাফাত সবুজও। তিনি বলেন, “লম্বা ছুটি পেলেও ৯০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে এবার গ্রামে যাবো না। বাসা ফাঁকা রেখে যাওয়া ঠিক হবে না মনে হচ্ছে।”

এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মহাসড়ক ও থানা এলাকায় কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, “১৭ জনের সঙ্গে আরও ১০ জন পুলিশ সদস্য যোগ হয়ে মহাসড়কে ২৭ জন সদস্য কাজ করবেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকেরাও থাকবে।”

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, “ঈদে ৬০ জন পুলিশ সদস্য মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করবেন। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, “ঈদ উপলক্ষে মহাসড়ক ও থানা এলাকায় তিনগুণ পুলিশ সদস্য টহলে থাকবেন। নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, “পাঁচটি টহল টিম ঈদ ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় থাকবে, বিশেষ করে মহাসড়ক ও কোরবানির পশুর হাটে।”

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “র‌্যাব সদস্যরা মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে থাকবে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস সত্ত্বেও অনেকেই মন থেকে আস্থা ফিরে পাননি। পরিবহন চালক ও বাস কাউন্টার কর্মীদের মধ্যেও রয়েছে আতঙ্ক। তাদের মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ-মেঘনা অংশে ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটে। এজন্য এই রুটে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

৪-৫ জুন থেকে যাত্রীচাপ বাড়বে বলে জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, নির্ধারিত পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন