সর্বশেষ

অর্থনীতি

খাদ্য নিরাপত্তায় বড় বাজেট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়বে ৯ গুণ 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ৭:৪০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা করা হতে পারে, যা চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৯ গুণেরও বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে দেশে খাদ্য সংকট না তৈরি হয়, সে লক্ষ্যেই এই বরাদ্দ বৃদ্ধির উদ্যোগ। সূত্রটি জানায়, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেও খাদ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ৮ কোটি টাকা করা হয়েছিল।

মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারও বাজেট পরিকল্পনায় বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে অবস্থান করছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে চাপ তৈরি করেছে। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে খাদ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

খাদ্য সহায়তা ও ভর্তুকি খাতেও বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দ। নতুন অর্থবছরে খাদ্য সহায়তা বাবদ ১০ হাজার কোটি টাকা এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহের জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। চলতি অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।

এছাড়া, আগামী ২ জুন বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথমবারের মতো আগের বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কম হতে যাচ্ছে।

নতুন বাজেটে কর কাঠামোতেও আসছে পরিবর্তন। ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। একইসঙ্গে "জুলাই আন্দোলনের" গেজেটভুক্ত আহতদের জন্য আয়কর ছাড়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আইএমএফের পরামর্শে ৩১টি শিল্পের কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার এবং আইটি ব্যবসাকে করের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

তথ্য বলছে, আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সুবিধা নিশ্চিত করতে ১৩৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক এবং ৩ শতাধিক পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করা হতে পারে। পাশাপাশি, ভুল এইচএস কোড ঘোষণায় আর্থিক জরিমানার হারও হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, "খাদ্য নিরাপত্তা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি। এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি, খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা এবং জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।"

১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন