সর্বশেষ

সারাদেশ

নড়াইলে কোরবানির ঈদ ঘিরে আলোচনায় বিশাল আকৃতির ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’

এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল
এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ৭:০৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো নড়াইলেও চলছে পশু প্রস্তুতির ব্যস্ততা।

এরইমধ্যে জেলার তারাপুর এলাকায় অবস্থিত চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মে আলোচনায় এসেছে একটি বিশালাকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’।

সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতা ও প্রায় ১১ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি বা প্রায় ৩৫ মন। দাম হাঁকানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ফার্ম সূত্রে জানা গেছে, শান্ত স্বভাবের হলেও প্রয়োজনের সময় এই দানবাকৃতির ষাঁড়টিকে সামলাতে ২০ থেকে ২৫ জন মানুষের দরকার হয়।

খামারের মালিক মিল্টন শিকদার জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশে ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে লালন-পালন করা হয়েছে ব্ল্যাক ডায়মন্ডকে। প্রতিদিন তিনবেলা খাবারের তালিকায় থাকে কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খৈল, চিটাগুড়, লবণ ও গম ভাঙা। শুধু এই একটি ষাঁড়ের দৈনিক খাবার বাবদ খরচ প্রায় ৫০০ টাকা।

খামারকর্মী আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা তাকে পরিবারের একজন সদস্যের মতোই যত্ন নিই। প্রতিদিন অন্তত দুইবার গোসল করানো হয়।”

চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মে ব্ল্যাক ডায়মন্ড ছাড়াও আরও ৬০টি দেশি জাতের ষাঁড় রয়েছে, যেগুলোর প্রস্তুতিও চলছে ঈদকে ঘিরে।

নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় মোট ৫৪ হাজার ৫৮৫টি গবাদিপশু মোটা-তাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে ১৬ হাজার ৩৪৮টি, বলদ ২ হাজার ৪০৩টি, গাভি ৪ হাজার ৪৬২টি, ছাগল ৩১ হাজার ৩০৭টি ও ভেড়া ৪৫টি। জেলার কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা ৪০ হাজার ৫১৬টি হলেও প্রায় ১৪ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, যা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মের ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মতো বড় পশুর জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তবে জেলায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদাই বেশি। কোরবানির সময় ভোক্তাদের সুস্থ ও নিরাপদ পশু সরবরাহে প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।”

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন